উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি

- সাধারণ বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান | NCTB BOOK
1.4k
Summary

উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী প্রধানত অণুর চলন এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এ ক্ষেত্রে মূল পদ্ধতিগুলো হলো:

  • ব্যাপন: অণু সবসময় চলমান থাকে এবং ঘনত্বের পার্থক্য অনুযায়ী ছড়িয়ে পড়ে, যতক্ষণ না ঘনত্ব সমান হয়।
  • অভিস্রবণ (Osmosis): একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লীর মাধ্যমে হাল্কা ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘন দ্রবণের দিকে পানি প্রবাহিত হয় যতক্ষণ না দুই দ্রবণের ঘনত্ব সমান হয়।
  • প্রস্বেদন (Transpiration): উদ্ভিদের পাতা ও অন্যান্য বায়বীয় অঙ্গ থেকে জলীয় বাষ্প বের হওয়ার প্রক্রিয়া। এটি তিন প্রকার:
    • পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন (৯০-৯৫%)
    • কিউটিকুলার প্রস্বেদন
    • লেন্টিকুলার প্রস্বেদন

প্রস্বেদন উদ্ভিদের পাতা থেকে স্থায়ীভাবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে এবং জাইলেমের মাধ্যমে মূলরোমের পানি শোষণে সাহায্য করে।

উদ্ভিদের পরিবহন টিস্যু দুটি: জাইলেম এবং ফ্লোয়েম। জাইলেমের মাধ্যমে পানি পাতায় যায় এবং ফ্লোয়েমের মাধ্যমে পাতায় উৎপন্ন খাদ্য সারাদেহে পরিবাহিত হয়।

উদ্ভিদের শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি

ব্যাপন

সব পদার্থ কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু নিয়ে তৈরি। এ অণুগুলো সবসময় গতিশীল বা চলমান অবস্থায় থাকে। তরল বা গ্যাসের ক্ষেত্রে অণুগুলোর চলন দ্রুত হয় এবং বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘঘনত্বের দিকে অণুগুলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে যতক্ষণ না অণুগুলোর ঘনত্বের সমান হয়। অণুগুলোর এরূপ চলন প্রক্রিয়াকে বলে ব্যাপন। অণুগুলোর ঘনত্ব সমান হওয়া মাত্রই পদার্থের ব্যাপন বন্ধ হয়ে যায়।

 

অভিস্রবণ (Osmosis)

যে প্রক্রিয়ায় একটি বৈষম্যভেদ্য ঝিল্লীর মধ্য দিয়ে হাল্কা ঘনত্বের দ্রবণ হতে পানি (দ্রাবক) অধিক ঘন দ্রবণের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে অভিস্রবণ (Osmosis) বলে। দুটো দ্রবণের ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। পানিতে কিচমিচ ডুবিয়ে রাখলে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যে ফুলে উঠে।

 

প্রস্বেদন (Transpiration)

উদ্ভিদের পাতা ও অন্যান্য বায়বীয় অঙ্গ হতে জলীয় বাষ্প বের হয়ে যাবার প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রস্বেদন। বায়বীয় অংশ থেকে পানি ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের হয়ে যায়। প্রস্বেদনের জন্য সূর্যের প্রখর উত্তাপেও গাছের পাতা গরম হয় না। শীত বা গ্রীষ্মের পূর্বে প্রস্বেদন কমাতে গাছের পাতা ঝড়ে যায়। কলার চারা লাগানোর সময় প্রস্বেদন রোধ করার জন্য পাতা কেটে ফেলা হয়। প্রস্বেদন তিন প্রকার। যথা-

ক) পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন (৯০-৯৫%)

খ) কিউটিকুলার প্রস্বেদন

গ) লেন্টিকুলার প্রস্বেদন: উদ্ভিদের পরিণত কাণ্ডে সেকেন্ডারি বৃদ্ধির ফলে স্থানে স্থানে ফেটে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। এ ছিদ্রকে বলে লেন্টিসেল। লেন্টিসেলের মধ্যে দিয়ে প্রস্বেদনকে বলা হয় লেন্টিকুলার প্রস্বেদন।

প্রস্বেদনের ফলে খাদ্য তৈরির জন্য পাতায় অবিরাম পানি সরবরাহ সম্ভব হয়। প্রস্বেদনের ফলে জাইলেম বাহিকায় যে টান সৃষ্টি হয়, তা মূলরোম কর্তৃক পানি শোষণে সাহায্য করে।

 

পানি ও খনিজ লবণের পরিবহন

উদ্ভিদের মূলরোম দিয়ে পানি অভিস্রবন প্রক্রিয়ায় এবং পানিতে দ্রবীভত খনিজ লবণ নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় শোষণ পদ্ধতিতে শোষিত হয়ে জাইলেম টিস্যুতে পৌঁছায়। উদ্ভিদের পরিবহন টিস্যু দুই ধরনের। যথা- জাইলেম ও ফ্লোয়েম। জাইলেমেরে মাধ্যমে মূল দ্বারা শোষিত পানি পাতায় যায় এবং ফ্লোয়েমের দ্বারা পাতায় উৎপন্ন তরল খাদ্য সারাদেহে পরিবাহিত হয়।

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...